আনন্দমের সাংস্কৃতিক কর্মশালা

আশিস মণ্ডল, বোলপুর, ৬ জুন :
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উচ্চাঙ্গ সংগীতের অধ্যাপিকা মধুমিতা রায়ের পরিচালনায় দু’দিন ব্যাপী ক্ষুদ্র সাংস্কৃতিক অপেশাদার শিশু সম্পদ বিকাশের গবেষণা সংস্থা ‘আনন্দম’ একটি সাংস্কৃতিক কর্মশালার আয়োজন হয়েছিলো দারন্দা গ্রামের ‘জননী গ্রিনসে’।
তিন দশক এর ও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বয়সের শিশু ও শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত রয়েছে। এখানে শিশুরা একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের মধ্য দিয়ে বড় হয়। তারা সংগীত এর প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৃত্য, হস্তশিল্প, সংগীত রচনা প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটায় এবং দক্ষ ও পারদর্শি হয়ে ওঠে। বহুমুখী প্রতিভার অন্বেষণ এ আনন্দমের বেশ কয়েকটি কর্মশালায় ছাত্ৰছাত্রীরা ও সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আসা বহু শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। আজ ও সেই একই ধারা বজায় রেখে দারন্দা ও সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকে আসা শিশুদের সঙ্গে মিলেমিশে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের পারস্পরিক মেলবন্ধন ও পরস্পরের মধ্যে সফল আদান প্রদান। বিভিন্ন কর্মশালায় আয়োজিত দলগত আলোচনায় ছাত্র ছাত্রীদের ভাবনা নিয়ে অজস্র গান রচনা হয়েছে। এপ্রিলে মাসে “সৃজনী সুর ও ছন্দে আনন্দম” নামে একটি সিডিও প্রকাশিত হয়।
এবারের কর্মশালায় ছোটো দের আলোচনা সভা থেকে উঠে আসা পরিবেশ সচেতনতা, খেলা ও স্কুলে যাওয়া কেন দরকার, এই বিষয় থেকে গান রচনা করে আনন্দম এর বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। এবারের নতুন সংযোজন, একটি আলোচনা সভা “নাগরিক হিসাবে আমাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া”। মনোগ্রাহী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকারা। আর একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিল্পী ও অধ্যাপক সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের শিশুদের নিয়ে ছবি আঁকার কর্মশালাটি। কর্মশালায় যা যা ঘটেছে তারই একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল ৫ জুন বিকেল বেলা ছবি আঁকা, হস্ত শিল্প প্রদর্শনী, গান ও নাচের মাধ্যমে।