কাপড়ের বাজারে বাজার মাত বাংলা সিরিয়ালের ডালি ফ্রকেরঃ অভিষেক গুপ্তারা চেয়ে থাকেন ঈদের দিকেই

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট, ১৪ জুনঃ
কাউন্ট ডাউনের শেষ মুহূর্তে চলে এসেছে ঈদ। এবার কাপড়ের দোকানে সিনেমাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা সিরিয়াল। বাজার মাত বাংলা সিরিয়ালের! গতবারের বাজিরাও মস্তানীর থেকে এগিয়ে স্টার জলসার ভজ গোবিন্দ সিরিয়ালের ডালি ফ্রক। ছোটদের জন্য এক কালারের স্লিভলেস ডালি ফ্রক। বড়দের ও আছে সিরিয়ালের নায়িকা ডালি ফ্রক। দাম পাঁচশো থেকে সাতশোর মধ্যে। প্রায় প্রতিটি দোকান ঘাট জম জমাট। রামপুরহাট হাটতলা। কোন শপিং মল এখানে নেই। অসংখ্য ছোট বড় কাপড় থেকে বিভিন্ন দ্রব্যের দোকান পসরা। এখানে আবরণী ক্লথ স্টোর নামে এক কাপড়ের দোকানে দেখা গেল বগটুই এস ডি পিও পাড়ার রুবিনা বিবিকে। তিনি জানালেন, ছেলেদের জন্য জিন্স, মেয়েদের জন্য শালোয়ার কামিজ সবই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবার দোকানে আসতে হয়েছে এই ডালি ফ্রকের জন্য। বোনের আবদার! একটা দিন! কি আর করি বলুন! আবরনী ক্লথ স্টোর কাপড়ের দোকানের মালিক মহঃ শরিফুউদ্দিন ও কর্মী বাপি দত্ত জানান, এবার বিক্রিবাটা ভালো হয়েছে। এসময় মানুষ হাতে পয়সা থাকলে কিছু দেখে না। কিন্তু বৃষ্টি বাদলে গ্রামের মানুষের ফসল নষ্ট হয়েছে। আবার অনেকে চাষের জন্য আসতে পারছেন না। খুলে বাজার করতে পারছেন না। তাই এবার বিক্রিবাটা একটু কমের দিকে। একই কথা বলেন আরেক কাপড়ের দোকানের মালিক রাণা মণ্ডল।
অন্যদিকে, কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি সিমাই লাচ্চা বিক্রেতারাও খুসির ঈদের চাঁদের দিকে তাকিয়ে। কবে চাঁদ দেখা যাবে! মনে আশা আরও একদিন ব্যবসা করতে পারবেন তাঁরা। হাট তলার লাচ্চা ব্যবসায়ী অভিষেক গুপ্তা বলেন, এ’কদিন ধরে দৈনিক ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা করে সিমাই আর লাচ্চা বিক্রি করেছি। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার টাকা। মিহি সিমাই প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মোটা সিমাই ৪৫ টাকা এবং লাচ্চা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অভিষেক গুপ্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাত্রেই জানা যাবে ঈদ কবে। তবে মানুষ মোটামুটি সব কিনেই নিয়েছে। আশা করি কালও বেশ কিছু বিক্রি হবে। লাচ্চা আর সিমাইয়ের বাজার ভালোই। সারা বছর এই দিনটার দিকেই তাকিয়ে থাকি। ঈদের চাঁদের আলোর ছোঁয়ায় ‘দুর্গাপুজা আর দেওয়ালিতে’ আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের নতুন জামা কাপড় হয়।