অনাবৃষ্টির কারনে নলহাটিতে ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি

দেবশ্রী মজুমদার, নলহাটি, ২০ জুলাইঃ
অনাবৃষ্টির কারনে নলহাটি অসেচ এলাকায় প্রভূত ক্ষতির মুখে নলহাটি ১ নং ব্লকের বানিওর পঞ্চায়েত সহ আরও দুটি পঞ্চায়েত এলাকায়। মোট ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, বানিওর পঞ্চায়েতে চাষযোগ্য জমির পরিমান ২১৬৫ হেক্টর। বীজতলা নষ্টের পরিমান প্রায় ২০০ হেক্টর। ১৭টি মৌজা যথাক্রমে সুলতানপুর, বারসোর, সঙ্কেতপুর, রাঘববাটি, বাঁকাপাড়া, চণ্ডীপুর, পুসোর, জোত গোবিন্দপুর, গোবিন্দপুর, ভোলা, মদনা, বাহাদুরপুর, বানিওর, মধুপুর, আলালপুর, খাঁপুর ও রামপুর মৌজা প্রচুর পরিমানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এলাকার চাষীদের মাথায় হাত। বৃষ্টি নির্ভর অসেচ এলাকায় বৃষ্টি হলেই বীজ রোয়ার কাজ করেন চাষীরা। তারপর খারিফ ধানের পরেই ডাল শষ্যের চাষ করেন চাষীরা। কিন্তু এবার প্রায় ৭০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। গত বছর প্রচূর বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বিঘা প্রতি ৬ কুইন্টাল ধান উৎপন্ন হয়েছিল। ১৭ টি মৌজার ১৫০ হেক্টর বীজ তোলা সম্পূর্ণ ক্ষতির মুখে। কারন এই বীজের বয়স হয়ে গিয়েছে ৪০ – ৪৫ দিন। বীজ বোনার তিন সপ্তাহ পর ধান রোয়া করার নিয়ম। কিন্তু যেহেতু বীজের বয়স ৪০ দিন অতিক্রান্ত তাই চাষীরা দিশেহারা। পাইকপাড়া অঞ্চল, বাউটিয়া অঞ্চলের কাদাসির মৌজা সংলগ্ন আরো কিছু মৌজা অকাল খরার সম্মুখিন। এর ফলে খারিফ ধান চাষ ক্ষতির মুখে।
সুলতানপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ম্যানেজার অসীম সেন বলেন, “প্রায় ৫১ দিন বীজ লাল ও কুঁকড়ি হয়ে গেল। কৃষি দপ্তরের ৫ জন সদস্য এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্কেত পুর, সুলতান পুর, বারসোর, বাঁকাপাড়া, চন্ডীপুর, কুসোর, বানিওর, বসন্ত প্রভৃতি এলাকায় জমি দেখে যান। সঙ্কেতপুরের গৌতম সাহু, জগন্নাথ দাস, সন্তোষ মাল, বারসোরের শকুন্তলা মাল, পরেশ মাল, সুলতান পুরের বাবর হোসেন, গোলক মণ্ডলরা জানান, অনাবৃষ্টির জন্য তাঁরা সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন।
সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) দিবানাথ মজুমদার জানান, বর্ষা থাকায় আগের বছর ভালো ফসল হয়। কিন্তু বৃষ্টি নির্ভর এই এলাকায় এবছর ৭০ শতাংশ বৃষ্টি শর্টেজ। তবে এখনও যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমান কম হবে।